ডিমের খোসার সার (Eggshell Fertilizer)
===========================
কথায় আছে, যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন কিংবা জগতের কোন কিছুই ফেলনা নয়।
🥚হ্যাঁ, এই বিশ্বব্রক্ষান্ডের কোন কিছুই মহান সৃষ্টিকর্তা অনর্থক সৃষ্টি করেননি। প্রতিটি বস্তুই কোন না কোনভাবে মানবকল্যাণে প্রয়োজন হবে। আজ তেমনি একটি বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি।
🥚পুষ্টি চাহিদা মিটাতে আমরা প্রতিদিন ডিম খেয়ে থাকি। কিন্তু ডিম ভাংগার পর খোসাটা আমরা যেখানে সেখানে ফেলে দিই। অথচ এই ডিমের খোসা গাছের জন্য উত্তম সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
🥚ডিমের খোসার সারের উপকারিতাঃ🥚
=========================
ডিমের খোসায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে, যা গাছের অন্যতম একটি পুষ্টি উপাদান।
ডিমের খোসায় ৯৬% ক্যালসিয়াম কার্বনেট (CaCO3) থাকে৷
🥚 আর কোষের আবরণ ( cell wall) গঠন করতে সহায়তা করে এই ক্যালসিয়াম উপাদান।
তাই, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে মাটিতে ডিমের খোসাচূর্ণ প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
🥚 ক্যালসিয়ামের অভাবে বিভিন্ন রোগ যেমন মরিচ, স্কোয়াস, টমেটোর ব্লসম ইন্ড রট ( blossom end rot) হয়, যা ডিমের খোসার চূর্ণ প্রয়োগ করে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
🥚 এমনকি শামুক জাতীয় pest থেকেও অনেক সময় ফসলকে রক্ষা করে।
🥚গাছের দৈহিক বৃদ্ধি ও ফুল অবস্থায় ডিমের খোসার চূর্ণ বা গুড়া প্রয়োগ করলে গাছের টিস্যুর পুরুত্ব বাড়ে।
🥚 ডিমের খোসায় হালকা দোআঁশ মাটি দিয়ে বীজ বপন করে চারা তৈরি করলে চারার স্বাস্থ্য ভালো হয়। অনেক home gardern বা roof garden এ এখন চারার তৈরিতে ডিমের খোসা উত্তম seed starter pot হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কারণ এটি পঁচনযোগ্য (biodegradable).
🥚ডিমের খোসা থেকে যেভাবে সার বানাবেনঃ🥚
================================
ডিমের খোসা সংগ্রহ করে ভালো ভাবে পানিতে পরিস্কার করে ওভেনে ১২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ১০ মিনিট গরম করে তারপর ঠান্ডা করে চূর্ণ করলেই সার হয়ে যায়। এই সার গাছের গোড়ায় ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হয়।
🥚🥚🥚🥚🥚🥚🥚🥚🥚🥚🥚🥚🥚🥚🥚
আমাদের বাসা বাড়ি, হোটেল, মেসে খাদ্য উপাদানের অন্যতম একটি মেনু হচ্ছে এই ডিম। এক পপরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রতিদিন ০২ কোটি ডিম খাওয়া হয়৷ তাই এই বিশাল ডিমের খোসা যদি সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়, তাহলে গাছের পুষ্টি উপাদান অনেকাংশেই মেটানো সম্ভব।
🥚বিশেষ করে যারা ছাদ বাগান বা বসতবাড়িতে বাগান করেন, তাদের জন্য ডিমের খোসার চূর্ণ বা গুড়া উত্তম সার হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।
উত্তর সমূহ